• মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
Headline
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে আরিফ মীর (৪০) নামের একজন নিহত ডোমারে ‘হিলফুল ফুজুল যুব সংঘ’-এর আত্মপ্রকাশ মুন্সীগঞ্জ-চাঁদপুর নির্মান হচ্ছে আধুনিক ঝুলন্ত সেতু মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর–গজারিয়া) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে মোঃ মহিউদ্দিন বাংলাদেশ স্কাউট ঢাকা অঞ্চলের পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ স্কাউটস টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাব হলিডে ২০২৫ মুন্সীগঞ্জ শহরে ব্যাতিক্রমের মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে শোভাযাত্রা ও পথসভা ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বাণী  মুন্সীগঞ্জ পৌর মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত মুন্সিগঞ্জ মেট্রোরেলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যোগাযোগ উপদেষ্টা কে স্মারকলিপি প্রদান

মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মজিবল মাঝি হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন গ্রেপ্তার, অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার

Reporter Name / ১৬ Time View
Update : বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মজিবল মাঝি হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন গ্রেপ্তার, অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার

তুষার আহমেদ :://

মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অটোচালক মোহাম্মদ মজিবল মাঝি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সোহাগ মোল্লা (৪৩), জয় (৩১), ইমরান (৩০), হারুন (৫১) এবং আলী হোসেন (৪০)। তাঁদের কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এম সাইফুল আলম।

বুধবার মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানায়, নিহত মজিবল মাঝি (৪৪) পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার লালবাগের ইসলামবাগ এলাকায় বসবাস করতেন।

গত ৩১ অক্টোবর বিকেল চারটা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি অটোরিকশা নিয়ে গ্যারেজ থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন তাঁর ছেলে রাসেল লালবাগ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।

পরে ৩ নভেম্বর সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া এলাকায় একটি ডোবায় বিছানার চাদর ও কম্বল পেঁচানো অবস্থায় ভেসে থাকা এক অচেনা মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা এসে সেটি মজিবল মাঝির বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশ জানায়, নিহতের দুই হাত ও দুই পা মোটা প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, তাঁকে অন্যত্র হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর পুলিশ সুপার মুন্সীগঞ্জের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)-এর তত্ত্বাবধানে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজিব দে’র নেতৃত্বে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠন করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় মজিবল মাঝিকে ‘মাওয়া যাওয়ার’ কথা বলে কৌশলে পঞ্চসার ইউনিয়নের তেলেরহিল এলাকার ইমরানের ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। এরপর সোহাগ গলায় রশি প্যাঁচিয়ে ধরে, ইমরান পা ধরে রাখে এবং জয় বুকের ওপর বসে কাঁচি দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে।
হত্যার পর লাশটি বিছানার চাদর ও কম্বলে পেঁচিয়ে সোহাগের অটোরিকশায় করে রতনপুর এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন আসামিরা নিহতের অটোরিকশা হারুনের কাছে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে, পরে তা রামসিং আলীর গ্যারেজে আরও এক লাখ এক হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

নিহতের স্বজনরা জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা