• শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
Headline
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বাণী  মুন্সীগঞ্জ পৌর মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত মুন্সিগঞ্জ মেট্রোরেলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যোগাযোগ উপদেষ্টা কে স্মারকলিপি প্রদান মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মজিবল মাঝি হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন গ্রেপ্তার, অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মুন্সীগঞ্জ-১ এ আব্দুল্লাহ, মুন্সীগঞ্জ- ২ এ সিনহা, মুন্সীগঞ্জ- ৩ অঘোষিত মুন্সিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি-২০২৫ পরীক্ষা অনুষ্ঠিতপরীক্ষা অনুষ্ঠিত নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া” সহ ২১ দফা দাবিতে মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ভিটি শিলমন্দি আলোক সংঘের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সড়ক নিরাপদ করতে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা প্রয়োজন – মুন্সীগঞ্জে নিসচা মহাসচিব এসএম আজাদ

দেশ ও দেশের বাহিরের সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন- মোঃ সবুজ মাহমুদ 

জনজীবন / ১১৭ Time View
Update : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

দেশ ও দেশের বাহিরের সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন- মোঃ সবুজ মাহমুদ

জনজীবন:::///

দেশ ও দেশের বাহিরের সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী চালক দল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সবুজ মাহমুদ সরকার।
পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর উৎসবের আরেক নাম। পুরোনো বছরের বিবাদ, সংঘাত পিছনে ফেলে নতুন বছরের আনন্দে মেতে উঠে বাঙালীরা। বলা চলে, পৃথিবীতে খুব কম জাতিরই নিজস্ব নববর্ষ আছে। তাদের মধ্যে ভাগ্যতম তালিকার মধ্যে বাঙ্গালীও অন্যতম‌। বাঙালিরা সেই ঐতিহ্যবাহী গর্বিত জাতি যাদের নিজস্ব নববর্ষ, নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব শক্তিশালী বর্ণমালা, নিজস্ব ষড়ঋতু, নিজস্ব উঁচুমানের সংস্কৃতি রয়েছে- এবং সারা বিশ্বে একমাত্র বাঙালিরাই তাদের নিজস্ব ষড়ঋতুকে আলাদা আলাদা করে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয়।

বাংলাদেশ তথা বাংলা ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও ছয় ঋতু নেই- এটাই বাঙালির গর্ব করার মত বিচিত্র বৈশিষ্ট্য। অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক উৎসবে এবং অপার আনন্দের সাথে বাঙালি এর মধ্যে খুঁজে পেয়েছে তার প্রকৃত পরিচয়। পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি বাঙালি জাতির ঐক্য, সংস্কৃতির আভিজাত্যের প্রতীক।

বাংলাদেশের মানুষ উৎসব প্রিয়। নানান রকমের উৎসব আমাদের জাতীয় জীবনে জড়িয়ে আছে। ঠিক তেমনি বাংলা নববর্ষ আমাদের আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের দাবীদার। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিরা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। বৈদিক যুগে ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ নামে এই উৎসব পালিত হত।

মধ্যযুগে ‘পয়লা বৈশাখ’ বা ‘নববর্ষ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন ‘হালখাতা’ নামে ব্যবসায়ীরা নতুন খাতা খুলে নতুন হিসাব শুরু করতেন। মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৫৬ সালে ‘বঙ্গাব্দ’ নামে নতুন বর্ষপঞ্জি প্রবর্তন করেন। তখন থেকেই ‘পহেলা বৈশাখ’ রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হতে থাকে।

বাঙালির এই উৎসবে অসাম্প্রদায়িক বিষয়টি সবচেয়ে আলোকিত হয়ে ফুটে ওঠে। বাঙালির মধ্যে নতুন করে প্রাণ-সঞ্চারিত হয়। বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযুক্ত হয় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে। সাহিত্যেও প্রভাব রয়েছে বৈশাখের রুদ্ররূপ ও বিভিন্ন উৎসব নিয়ে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল থেকে শুরু করে হালের কবি-সাহিত্যিকগণ বৈশাখ নিয়ে কবিতা-সাহিত্য রচনা করছেন। বাঙালি ‘হালখাতা’ নামে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে হিসাব শুরু করে। বাংলা নববর্ষে বেচাকেনায় ছাড় দেওয়ার সংস্কৃতি আছে। বাঙালির এ উৎসব অসাধারণ বৈশিষ্ট্যময়। বাংলা নববর্ষের এই ঐতিহ্য মাটি ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এখানে কোনো জাতিভেদ ও ধর্মভেদ নেই। শহর-গ্রামে তরুণ-তরুণীসহ সবাই উৎসবে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি প্রবাসেও এই উৎসব উদযাপনে বাঙালিদের মাঝে প্রানের সঞ্চার করে। সূর্য উঠার সাথে সাথে রবীন্দ্রনাথের গানটি ‘এসো হে বৈশাখ ‘গেয়ে ওঠে নূতন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় নজরুল বলেছেন, ধ্বংস আর যুদ্ধ থেকেই নতুনের সৃষ্টি হয়! তেমনই বাংলা নববর্ষের কালবৈশাখী ঝড় বা রুদ্র রূপ থেকেই অনুপ্রেরণা পায় বাঙালি।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা