দেশ ও দেশের বাহিরের সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা- মোঃ সাইদুর রহমান ফকির, সাধারণ সম্পাদক, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি।
জনজীবন ডেস্ক :::///
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং বাঙ্গালীর ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন।
১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপন শুরু হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়, অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এমতাবস্থায় বাঙালিদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং অনেক স্থানেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ভারতের অবিস্মরণীয় সমর্থনের ফলস্বরূপ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।
২৫শে মার্চ কালো রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে নিরহ জনগনের উপর জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা, মা বোনদের নির্যাতন শুরু করে। দেশে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই ভয়াল রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের অন্যান্য বড় বড় শহরেও আক্রমণ করে। তারা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশ, ইপিআর সদস্যসহ অসংখ্য নিরীহ বাঙ্গালী জনগনকে হত্যা করে এবং মা বোনদের ইজ্জত নষ্ট করে।
সেই ভয়াল রাত্রে মানুষ যখন দিশেহারা সেই মূহুর্তে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনা দিশেহারা মানুষের মনে আশার আলো জাগায়, মানুষ স্বস্তির গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে।