মুন্সিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে উৎসবের আমেজ
মোঃ জিয়াউর রহমান, ছবি- মোঃ আল আমিন ও সাইফুল ইসলাম ::://
‘মুন্সিগঞ্জে ধানে ফিরেছে প্রান’
বিভিন্ন জনদাবীতে- মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রধান বক্তা সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএনপি (ঢাকা বিভাগ) কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মিজানুর রহমান সিনহা, সঞ্চালনায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়। মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে দলে দলে মিছিল ব্যান্ডপার্টি নিয়ে আনন্দ মিছিল করে লোকজন আসতে শুরু করেছে।
মুন্সীগঞ্জ শহরের জুবলী রোডে অনুষ্ঠিত হওয়া উক্ত সমাবেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান ফকির বলেন- আজকের সমাবেশ হবে মুন্সীগঞ্জের স্মরণকালের ঐতিহাসিক সমাবেশ, এই সমাবেশে বিএনপির লক্ষাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত হবে ইনশাল্লাহ।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথের উত্তরনের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষনা এবং রাস্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবীতে আজকের বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন- আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে, পরে স্থানীয় নির্বাচন। আগে স্থানীয় নির্বাচন বাংলার জনগন মানবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান সিনহা বলেন- মুন্সীগঞ্জের মাটি বিএনপির ঘাটি। মুন্সীগঞ্জের তিনটি আসন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে উপহার দেব।
আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন- আপনার সবাই মিলেমিশে থাকবেন, বিএনপির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবেন। মুন্সীগঞ্জকে আমরা একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলব।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. মজিবুর রহমানসহ জেলা, উপজেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
বিএনপির আজকের এই মহা সমাবেশে লোকে লোকারন্য ছিল মুন্সীগঞ্জ শহর। দক্ষিণ দিকে পূরাতন কাচারী, পশ্চিমে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল, উত্তর লঞ্চঘাট ও উপজেলা পর্যন্ত লোকের জন্য পা ফেলার জায়গা পাওয়া প্রায় কষ্টকর ছিল।
